বলিষ্ঠ হাতে তুলিটা উঠিয়ে নিলেন তিনি,
অন্য হাতে প্যালেট।
রঙের আলপনায় চিত্রিত হয়ে উঠলো ক্যানভাস।
সূর্যটা পশ্চিম দিগন্তে ঢলে পড়েছে
দূরের আকাশটা লালে লাল।
একটা দলছুট পাখি এলোমেলো ঘুরে মরছে বাসার খোঁজে,
আলের ধারে দাঁড়িয়ে এক কিশোরী
দু’হাত বাড়িয়ে তাকে ছুঁতে চাইলো।
এই পর্যন্ত এঁকে শিল্পী তুলিটা উঠিয়ে নিলেন।
একটু পিছিয়ে এসে চোখ দুটো ছোট করে কি যেন দেখলেন,
একবার মাথা নাড়লেন,
চোখমুখে হতাশা, গ্লানি।
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে স্ত্রী বললো,
এমা, ওইটুকু মেয়ে সাঁঝের বেলা
মাঠের মধ্যে একলা ?
ওর কি মা বাপ দুটোই মরেছে ?
সাত বছরের মেয়ে ছুটে এসে বললো,
আচ্ছা বাপি, শ্যামলী গাই তো সেই কখন
গোয়ালে এসেছে ফিরে,
মেয়েটা তবে আলের ধারে কেন ?
ওই পথ হারানো পাখিটা কি জানে
ওর দুই হাতে লেগে আছে
গোধুলিবেলার আলো ?
সেই আলোয় স্নান সেরে
আলের পথ ধরে দুটিতে ফিরবে ঘরে
তাই কি অমন বাড়িয়ে আছে হাত ?
বাপি আদর করে
মেয়েকে নিলেন কোলে তুলে।
চুমু খেয়ে বললেন,
মা রে, তোর মতো সহজ করে
এমন সহজ কথা
ভাবতেও পারিনে,আঁকতেও পারিনে।
তুই আমার সোনা মেয়ে।
Darun🔥🔥🔥
Ha bes laglo….pore
Khub sundor khub e sundor fabulous
Khub sundor