তখন যুদ্ধ চলছিল। জার্মানি-ইউরােপ, বাংলাদেশ-পাকিস্তান বা ইরাকের মধ্যে। নয়। আবার এদের মত কম সময়েরও নয়, মাত্র এক শতকব্যাপী আন্ট্রা-ওয়ার, ফ্রোজেবিন আর হুবাস্কার এর মধ্যে, রাক্ষস আর সভ্য; যন্ত্রধারীদের মধ্যে।
তাদের সাপেক্ষে ছােট হলেও, এক বিশাল অস্ত্র থেকে যখনই এক অসম্ভব শক্তিশালী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিম আমার ডান দিক থেকে ৬ মিটার দূরে গিয়ে স্পেসক্রাফট চুরমার করে দিল, তখনই একটা কালাে রাক্ষস মাথার উপর দিয়ে এক লাফে আমার সামনে চলে এল।
দু’দিনে অস্ত্রের ব্যবহার শিখে গেছি। তাই কোনাে সমস্যা হল না। তারপর যুদ্ধের মধ্যে থেকে হঠাৎ লাফ মেরে আমার কাছে চলে এল ব্রকবিশ। আপাতত বন্ধ
বলা চলে।
তারা নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। আমার এআই.আসিস্টেন্ট সেটা ইংরেজিতে অনুবাদ করে। ব্রকবিশ বলল, ‘আই সাপোজ ইটস আওয়ার লাস্ট ওয়ার। ইট উইল এন্ড আস। ফ্রোজেবিনারস আর ফ্রিজিং আস উইথ এ স্ন্যাপ। আই ডােন্ট নাে হাউ ইট পসিবল। ইউ হ্যাভ টু গাে ব্যাক। সে আর এক লাফে কোথায় যেন হারিয়ে গেল।
এবার একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক। দু’দিন আগে আমি বাড়িতেই ছিলাম। ইচ্ছে হয়েছিল একটু ঘুরে আসার। সেটা একটু রােমাঞ্চকর হলে ঘুরে আসাটা সার্থক হবে। তাই মার্কেট থেকে একটা টাইম ওয়েব অর্ডার দিতেই চলে এল। তারিখ ছিল ৪০৩৮ এর আগস্ট ১৪। আজকালকার যুগে টাইম ওয়েব, টাইম ফম্যাট, টেলিপাের্ট ফর্ম বাজারে ব্যাপক হারে চলছে।
টাইম ওয়েবটা বাড়ির কম্পিউটারে যােগ করে ইন্টারসুপারনেটে কানেক্ট করেছিলাম। যার ফলে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড যেকোনাে জায়গায় আমি যখন তখন ঘুরতে পারব বলে দারুশ ব্রােমাক হচ্ছিল। পরিস টাইপ কেই আনি আইফেল টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে, কিছু থেকে হয়ে চলে এলাম। এভাবে তিন-চার যায়গায় ঘুরলাম। এযুগে এভাবে চলাচল করাটাই স্বাভাবিক। ঘটনাটা ঘটল পরের মুহূর্তে যখন কানাভ লিখতে গিয়ে ভুল করে কনাবা লিখে ফেললাম। জনিনা কীভাবে অন্য সযটেলাইটে ডেটা ট্রন্সকার হলাে। কিন্তু মনে হল যেন, অন্য কারােও ওয়েব হাইওয়েতে ঢুকে পড়েছি। কিছু সময় পরেই এখানে চলে এলাম। নামটা জনি না। সামনে কতকুলাে মালবাহী রােবােটু দেখে তাদের জিজ্ঞেস করতেই বলল, কনব। অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার তারপরও আরও কিছুক্ষণ ওদের সাথে কথা বলে অনেক কিছু জনলাম। এরা টাইটান গ্রহ থেকে অস্ত্র হর হাত নিয়ে আসে প্রতি মাসে। অন্ত্র ও খানের পরিবর্তে কানাবা টাইটানের হয়ে যুদ্ধ করে। তখন বুঝলাম যে, এরা পৃথিন্দ্র পাশ দিয়ে লইটস্পিতে এখানে আসছিল, যার দরুন আর সার্ভার ওদের স্যাটের সাথে কানেক্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তার কিছু দূরে একটু নীচু এলাকার অদ্ভুত যুদ্ধ হচ্ছিল। জীবনে কখনো দেখিনি এরকম যুদ্ধ। হঠাৎ এক অতিকায় জীব এক লাকে আমার সামনে এসে দাঁড়াল। পরবর্তীতে এই আমার বন্ধু হল ব্ৰকবিশ।
এদের সাথে মিশে যেতে শুরু করতেই বুঝে গেলাম, এদের মতাে মু্, অবুক পৃথিবীবাসীর সদ্যজাত শিশুও হয়না। এরা শুধু যুদ্ধ করতেই জানে। যুদ্ধ সময় এদের প্রচুর শক্তি ও বুদ্ধির যােগান দেয় এক অজ্ঞাত হৰয। সেটাও টাইটান থেকে আসে। যখন এদের ভদ্র হিংস মনােভাব আমার কোন ক্ষতি করবে না বুঝলাম তখন আমিও যুদ্ধে এদের পাশে দাঁড়াতে অগ্রসর হলাম। অজ্ঞাত হব্যটি পান করে আমার মধ্যেও এক জোশ কাজ করতে শুরু করেছিল। শুনেছিলাম যে, এই দ্রব্যটি পান করার পর শত্রুদের সদ্যোজাত বাচ্চাকে তে কারে হত কাঁপবে না। এর আরও একটি গুণ রয়েছে। তা হলাে, এ হ্ব্য সবার মধে সমপরিমাণ শক্তি যােগ করার পাশাপাশি দেহের আকারও সম-আকার করে তােলে, যা বর্তমানে কার্যকরীভাবে আমাকে নয় গুণ বড়াে করে তুলেছে।
আমাকে অস্ত্র হিসেবে দেওয়া হয়েছিল একটা নয়নে-পটিকলের চৌকো বঙ্গ। এটার ব্যবহার পৃথিবীতেও আছে। কিন্তু এত অ্যাডভান্স আর উন্নত নয়। আমি যে অন্ত্রকে ইমাজিন করছিলাম সেটাই হয়ে যাচ্ছিল বঙ্গটা। ব্ৰকবিশ ও তার দল একটা বৃহৎ অস্ত্র ব্যবহার করছিল, যাদের মধ্যে কোনাে রকমফের নেই। এরা যুদ্ধ করে ঠিকই কিন্তু যন্ত্রের বিষয়ে অজ্ঞাত। টাইটান থেকে এদের অন্ত্র প্রশিক্ষণ সেওয়া হয়।
সে যাইহোক, যুদ্ধটা আমরা জিতে যাচ্ছিলাম কিন্তু তখন খুব খারাপ অবস্থা। ফ্রাজেবিয়ানৱা ? অধিকাংশেই ক্যানাবিয়ানদের জমিয়ে দিয়েছে এক তেজস্ক্রিয় পাথরের মাধ্যমে। ধীরে ধীরে তারা আমাদের ঘিরে ফেলেছে। আমরা শখানে আছি এখনও। ব্ৰকবিশ বলল যে, গুদেরকে একটা পনের রাস্তা খুঁজতে হবে। মালবাহী রােবটগুলি স্পেসক্রাফট নিয়ে দুদিন আগে এসেছিল। আবার একমাস পর আসবে। তার মানে এদের এই পথ ছাড়া অন্য পথ হতে হবে। এর শান্তিপ্রিয় ছিল শুনেছিলাম, কিন্তু টাইটানের কোনাে এক হিসেপূর্ণ মনােভাবের কারণে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
হঠাৎ, দেখলাম রকজায়ার সাহায্য করতে এসেছে। রকজায়ার প্রতিবেশী । সেখানকার একটা স্পেসক্র্াফট আমাদের মাথার গুপরে। আমাদের দলের সকলে এক এক লাফে পেসাফটে চড়ে যেতে লাগল। কয়েকজন ফ্রোজেবিয়ান রাক্ষসদের স্বারা ফ্রিজ হয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
আমার মতে মাতৃভূমি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া কাপুরুষত্বকে প্রকাশ করে। এদের তাে কোন উপায়ই নেই। মাথায় একটা বুদ্ধি চলে এল। যে কয়েকজন মাটিতে ছিল, তাদের হাতের আলাের পরিবর্তন করানাে হল। আমি ওদের বােঝালাম যে এখনাে হার আসেনি। আমি একটা নিউক্লিয় বােমার আকৃতি কল্পনা করতেই আমার হাতে সেটা চলে এলাে। সাথে সাথে সকলে বুঝেও গেল। পরিকল্পনা ছিল, বােমাগুলি ছুঁড়ে চারপাশে মারব আর আমরা প্রােটেকশন শিল্ড ব্যবহার করে কেঁচে যাব। প্রােটেকশন শিল্ আমাদের সবার কাছেই আছে।
ফ্রান্সেবিয়ানরা এত দ্রুত আমাদের ঘিরে ফেলল যে দলের অন্যরা বোমাগুলাে মাটিতে রেখেই লম্বা লাফ দিয়ে স্পেসক্রাফটে উঠে গেল। একসময় কৰিশও প্রাণের সুরক্ষার তাগিদে চলে গেল। অবশেষে আমিও তাই করলাম।
আমার এআই, অ্যাসিস্ট্যান্ট বলল ২,৬ কি মি.। এত উচু লাফ এর আগে কখনাে মারিনি। দেহের বিকাশ এদের মতাে হলেও কার্যক্ষমতা এদের থেকে কম। লাফটা আমার কাছে নেহাতই অসাধ্য মনে হলাে। চারিদিকে ঘুরে দেখি আমার দিকে শতশত রাক্ষুসে ফ্রো্জেবিয়ানরা দৌড়াযেছে.. মনে হচ্ছে অলিম্পিক। চার পাঁচ পা পিছলাম; পালানাের জন্য নয় বাঁচার জন্য। দৌড়ে সর্বশক্তি দিয়ে লাফ এআই, অ্যাসিস্ট্যান্ট বলতে লাগল ১২.১.৬…১৯.২.৩.২.৪… এমন সময় হঠৎ নিজেকে বেগশূণ্য মনে হলাে কিন্তু তার পরেই তাে..
কয়েক আলােকবর্ষ দূরে, পৃথিবী, ক্লাসেই বসে আছি। ২০১৯ সাল। ৰােরিং ক্লাস। স্বপ্নটা যা ছিলনা. কাউকে বলে বােঝাতে পারব না। সেজন্যই লিখলাম।
Wow amezing kahani
Great
Joto gulo golpo ba kobita ei website e achhe shob gulor theke eta best.. ❤❤❤❤
“Taare Zameen par” এর একটা সীন মনে করিয়ে দিলো… অসাধারণ