তিন্নির মনখারাপের দিন শেষ।
আটমাস ধরে একটু একটু করে
জমে ওঠা বিষণ্ণতার মেঘ গেলো সরে।
আজ ভোর না হতেই
খোলা জানলা দিয়ে ঢুকে পড়লো
একরাশ মাতাল হাওয়া।
মেল খুলে দেখে, খবর এসেছে,
বিকেল পাঁচটা, সেই ভিক্টোরিয়া।
ওরা দুটিতে হাঁটছিলো পাশাপাশি
তিন্নি আর অভীক।
দুজনেই চুপ,
হাতের মধ্যে ধরা ছিলো হাত।
এর চোখের তারা ওর চোখের তারায়
খুঁজে ফিরছিলো নিশ্চিন্ত আশ্রয়।
সন্ধ্যা নামলো ধীরে।
ফুচকা, ভেলপুরি, পাপড়ি চাটের
দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড়।
দু-একটা পনি ঘুরে ঘুরে ঘাস খাচ্ছে।
একটা দু’বছরের শিশু টলমল পায়ে
হাঁটতে হাঁটতে মার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
ঘোর লাগা আকাশে ঝাঁক বেঁধে
উড়ে চলেছে নীড়মুখী বলাকা।
খানিকটা এগোলেই ব্রিগেড।
তারপর লম্বা মাঠ পেরিয়ে পার্ক স্ট্রীট
ওরা মাঠে নামলো।
এই পথটুকু ওরা হেঁটে পার হবে।
কলকাতার ধোঁয়াশা,
শ্লথ পায়ে নেমে আসা অন্ধকার
চারপাশের জগত থেকে ওদের আড়াল করে নিলো।
ওরা দুটিতে এখন আশ্লেষে মগ্ন,
এর ঠোঁট ওর ঠোঁট থেকে
পান করছে সুধা।
ওদের আঁখিপল্লব এখন অস্থির,
এর চোখের তারা ওর চোখের তারায়
ডুব সাঁতার দিয়ে মেপে নিলো প্রেমের গভীরতা।
ওদের চারপাশ দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে কলকাতার ট্রাফিক।
আকাশের উঁচু দিয়ে শব্দ করে
উড়ে গেলো এক যাত্রীবাহী প্লেন।
দূরের স্কাই স্ক্র্যাপারগুলো
আলোয় ঝলমল করছে।
চারদিকেই জীবনের উচ্চ নিনাদ,
তারই মাঝে ব্রিগেডের এই নির্জন দ্বীপে
দুই মানব মানবী একে অন্যের
বাহুডোরে বাঁধা পড়লো।
কেবল দূর আকাশের মিটমিট করা
তারার দল ওদের দিকে
নির্ণিমেষ চেয়ে রইলো।
_____________________________________________________________________________
To get technology related quality blogs please visit our main website
সুন্দর এক কবিতা ❤️
Darun 🔥🔥🔥