“ও মাঝি কূলে পৌঁছোতে আর কতক্ষণ?” সুশোভন চিৎকার করেই উঠলো একপ্রকার।
পাঁচবছর পর দেশের বাড়ি ফিরছে সুশোভন। ফিরতো না। নেহাৎ মায়ের মরণাপন্ন অবস্থা তাই! মায়ের প্রতি ভালোবাসা নেই ওর। সারাটাজীবন বাবা ওকে সামলেছে। মা যাত্রাপালার হিরোইন হয়ে ওকে মানুষ করতে সময়ই পায়নি। তবু অনেকবার আসবে না ভেবেও না এসে থাকতে পারেনি।
‘অ্যাই তো বাবু! আইয়াই পড়সি প্রায়। বাড়িতে ছটো ছ্যালেটার অসুখ। ওর কথা মনে পড়ত্যাছে । জোর পাচ্ছিনা গায়।”
“তাহলে নৌকো নিয়ে বেরিয়েছো কেন?”
অ কিছু নয় বাবু। আমার এর আগে দুটা মেয়েও গ্যাছে অসুখে । প্রথম প্রথম কিছুতেই বেরোতে ইচ্ছা করতো নাই। তারপর বুঝিছি নৌকা ছাড়া আমার কোনো গতি নাই। আসলে যতোই দূরে যান না ক্যানে, স্রোতের টানে স্যাই চেনা জায়গায় ফিরতেই হবে বাবু, বুইলেন কিছু?”
সুশোভন জানেনা, কখন দু’চোখে শ্রাবণের ধারা নেমে এসেছে ওর।
Khub sundor laglo pore
vlo hoeche aro better hobe