ব্যাপার টা গল্পঃ মনে হলেও সত্য। আমি রাজা। থাকি কলকাতার রাজারহাট এলাকায়। যাদবপুর থেকে ফিজিক্স এ অনার্স শেষ করে একটা ছোটো কোম্পানি তে চাকরি জুটে যায় খুবই কষ্টে। একলা মানুষ হোয়েছি অনাথ আশ্রম এ। মা বাবা ছেলেবেলায় মারা যায়। বরাবরই পড়াশুনা তে টান ছিল,তাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ভালোমতন পাস করে বেরোই। ঘটনার তারিক ১৭ নভেম্বর ২০১৮ যখন আমি কলেজ এর প্রোগ্রাম শেষে নিজের বাড়ি ফিরছি। আসার সময় গাড়ি না পাওয়ায় আমি হেঁটেই আসছিলাম। সময় টা আন্দাজ ১২ টা বেজে ২০ মিনিট। আমি রাস্তায় ঘুরে মোড় নিয়েই একটা আওয়াজ শুনতে পেলাম কেউ যেনো বলছে
“খুঁজি খুঁজি তারে পেলাম না কোথাও পাই যদি তারে যেতে দেবো না কোথাও”
আমি শব্দ টার উৎস লক্ষ্য করে এগিয়ে গেলাম। দেখলাম সুন্দর লাল একটা শাড়ি পড়ে একটা মেয়ে বসে আছে। আমি একটু অবাক হলেও বললাম ” আপনি কে? এত রাতে এখানে কেনো? মেয়েটা বলে “তোমার অপেক্ষা তেই ছিলাম।” রাজার তো ঘাম ছুটে গেলো মনে মনে ভাবলো”মেয়েটা বলে কি”,আরো ভাবলো “আচ্ছা দেখাই যাকনা কি হয়।” মেয়েটিকে রাজা বললো”কি দরকার আপনার আমার সাথে?” মেয়েটা বললো “মনে আছে আমায়”।
রাজা ঠিক মনে করতে পারলো না কে সে। মেয়েটা বললো “আমি তো তোমার সাথেই থাকতাম মনে নেই আমায়,আমার নাম মিমি। রাজা অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারলো না কে সেই মেয়েটা। মেয়েটা সেদিনের মত চলে গেলো হটাৎ করেই,রাজা তাকে খুঁজে পেলনা। রাজা বরাবরই ভীতু কিন্তু কৌতুহলী ধরনের মানুষ।এবারে সে ভাবলো ভুতুড়ে ব্যাপার নাতো। সে বাড়ি গেলো,সারারাত ভাবলো বারবার একটা নাম মাথায় আসছে “মিমি”। পরদিন সে কাজের চাপে সব ভুলে গেলো। কিন্তু সে জানতো না তার সাথে কি হতে চলেছে। সামনে তার পরীক্ষা। সে ব্যাস্ত,রাতে পড়াশুনা করতে হয়, সেইরকম ই পড়তে পড়তে সে শুনতে পেলো দরজায় খট খট শব্দ।আর সেই কবিতা
“খুঁজি খুঁজি তারে পেলাম না কোথাও পাই যদি তারে যেতে দেবো না কোথাও”
সে দরজা খুলে দেখে মিমি তার সামনে। রাজা তো ভারী অবাক হয়।বলে ” তুমি এখানে কিভাবে “। মিমি বলে বলেছিলাম না তোমার সাথেই আছি আমি। রাজা কথাটার কিছুই বোঝে না । সে মিমি কে ঘরে এনে বসায় গল্পঃ করে নিজেদের জীবন নিয়ে। কিছুদিন পরে রাজা মিমি সম্পর্কে সব জানতে পারে । মিমি রায় বাড়ি রাজারহাট এলাকায়। মেয়েটিকে এরপর বাড়িতে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয় রাজা। মেয়েটি প্রথমে না না করলেও রাজা তার কথা শোনে না । এরপর তাদের আলাপ শুরু হয়। মাঝে মাঝেই রাজা মেয়েটির সঙ্গে দেখা করত কিন্তু মেয়ে টি বড়ই অদ্ভুত। সে অন্য মেয়েদের মত অত সাজত না। তার গলার স্বর টাও অদ্ভুত। ঠিক যেনো দূর থেকে কথা ভেসে আসছে। একটা বিশেষ ব্যাপার লক্ষ্য করলো রাজা যে মেয়েটি দিনের বেলায় কখনোই তার সঙ্গে দেখা করে না। শুধু সন্ধ্যা বেলাই তাদের দেখা হয়। মেয়েটি র কাছে কোনো ফোন নেই । রাজা সেই জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় যেখানে তাদের দেখা হয়েছিল হটাৎ করেই মেয়েটা চলে আসে। রাজা ধীরে ধীরে মেয়েটা র প্রেমে পড়তে থাকে । মেয়েটি সেটি বুঝতেও পারে বলেনি কিছুই। একদিন রাজা তাকে তার মনের কথা বলে দেয়। এরপর রাজার সাথে মেয়েটি র আর দেখা হয়নি।রাজা এখন পাগল। সে প্রতিদিন মেয়েটি কে খুঁজে বেড়ায় সেখানে ।
– অর্ঘ্য
Khub vlo darun
U are right
Great story
Please share and leave a comment for us 🙂
হরি হরি 🥶